গাড়ির মেরামতির কীভাবে চিহ্নিত করবেন? এগুলি লুকানো ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে এবং সমস্যাযুক্ত গতির গাড়ি কেনা থেকে বিরত রাখবে।
বডি মেরামতের লক্ষণগুলি এমন চিহ্ন যা গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে তা নির্দেশ করে। এই লক্ষণগুলি গাড়িটি কেনার আগে তার প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়নে সহায়তা করে।
কোন জিনিসগুলোর দিকে নজর দিতে হবে? অংশগুলোর মধ্যে অসমান ফাঁক, পুট্টির চিহ্ন, পুনরায় রঙ করা অংশ বা রঙের ছায়ার পার্থক্য — এগুলো সবই লুকানো ত্রুটির ইঙ্গিত দেয়। পেশাদার পরিবেশে পরীক্ষা করালে নির্ভুল ফল পাওয়া যায়।
পরিদর্শনের শুরুতেই গাড়ির VIN নম্বর নথির সাথে মেলান এবং বিশেষায়িত সার্ভিস ব্যবহার করে যাচাই করুন। এরপর গাড়ির সামগ্রিক দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করুন ৫-১০ মিটার দূর থেকে — এটি গাড়ির সাধারণ অবস্থার একটি প্রাথমিক ধারণা দিবে। এরপর বিস্তারিত পর্যবেক্ষণে যান।
বিভিন্ন কোণ থেকে গাড়ি পর্যবেক্ষণ করুন এবং নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন:
আপনার কাছে যদি একটি পেইন্ট থিকনেস গেজ থাকে — এটি একটি যন্ত্র যা রঙের স্তরের পুরুত্ব মাপে — তাহলে প্রতি ২০-২৫ সেন্টিমিটার পর পর মাপ নেওয়া উচিত। কোনো অংশে ৩০০ মাইক্রনের বেশি হলে সেখানে মেরামতের প্রমাণ রয়েছে। তবে কোনো অংশ পুরোপুরি বদলে গেলে এই যন্ত্রে তা ধরা পড়বে না, কারণ নতুন অংশের রঙ সাধারণত কারখানার মান অনুযায়ী হয়।
বডি রঙ পরিবর্তনের প্রধান লক্ষণ হলো বিভিন্ন অংশে রঙের ছায়া আলাদা হওয়া। গাড়িকে চারদিকে ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করুন এবং প্রতিটি অংশ ভালোভাবে দেখুন। আদর্শভাবে, সব অংশ একই রঙের হওয়া উচিত। তবে বিভিন্ন কোণে আলোর প্রতিফলন ভিন্ন হতে পারে।
যদি কোনো দরজা অন্য অংশের চেয়ে গা dark ় রঙের হয়, তবে এটি ভুল রঙ মেশানোর ফল।
পার্ল বা মেটালিক রঙ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পাশের অংশে ট্রানজিশন ব্যবহার জরুরি এবং একসাথে দুই অংশে ল্যাকারের প্রয়োগ প্রয়োজন। এই নিয়ম মানা না হলে রঙের ফারাক স্পষ্ট দেখা যাবে।
প্লাস্টিক বাম্পারে কারখানা থেকেই সামান্য রঙের পার্থক্য থাকতে পারে, কারণ উপাদানের ধরন ভিন্ন।
প্রান্ত, গ্যাপ ও প্যানেলের জায়গাগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। বাইরের ও ভিতরের অংশের মধ্যে আকস্মিক রঙের পরিবর্তন থাকলে এটি মেরামতের ইঙ্গিত।
দরজার ভেতরের ফ্রেমে স্পষ্ট রঙের সীমানা থাকলে বুঝতে হবে পেইন্টিং টেপ ব্যবহারের ফলে এই পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এটি অপেশাদার রঙ করার লক্ষণ।
বর্তমানে পেইন্ট জবের জন্য ফোম টেপ ব্যবহৃত হয়, যা এই ধরনের রেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তবু অনেক মেকানিক খরচ বাঁচাতে পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
দরজা, বনেট, বুট ইত্যাদির গ্যাপ দুই পাশে সমান হওয়া উচিত। যদি পার্থক্য থাকে বা দরজা খোলা বন্ধে সমস্যা হয়, তবে এটি স্পষ্ট বডি মেরামতের চিহ্ন।
বিশেষজ্ঞ মেকানিকরা এই গ্যাপ ঠিক রাখতে পারেন, তবে অনেকেই তা এড়িয়ে যান বা কম খরচে মেরামত করেন।
গ্যাপ পরীক্ষা করতে একটি পকেট নাইফ, ফ্ল্যাট কী বা আঙুল ব্যবহার করে দুই পাশে একইভাবে প্রবেশ করিয়ে তুলনা করুন। তবে ১০-২০ বছরের পুরোনো গাড়িতে নিখুঁত গ্যাপ আশা করা যায় না।
রঙ করার সময় টেপ ও কাভার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাবারের উপর বা তারের গেটিংয়ের উপর রঙের ছিটা পড়ে যায়।
হালকা রঙের গাড়িতে এই ছিটা সহজে দেখা যায়, কিন্তু গা dark ় রঙের গাড়িতে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
যদি বনেট বা অন্য কোথাও স্ক্র্যাচ বা চিপ থাকে, কিন্তু পাশের অংশ একেবারে নতুন দেখায়, তবে সেটি মেরামতের লক্ষণ।
চকচকে বা পালিশ করা অংশ প্রায়ই নতুন রঙ করার ইঙ্গিত দেয়। রঙ করার পর যদি পালিশের পেস্টের অবশিষ্টাংশ থাকে, সেটিও লক্ষণীয়।
হুড বা দরজার বোল্টে কারখানার রঙ না থাকলে বুঝতে হবে এগুলো খোলা হয়েছে। কিছু মেকানিক কারখানার রঙ অনুকরণ করলেও এটি নিশ্চিত হতে বোল্ট পরীক্ষা করুন।
শপাকল দেওয়ার পরে যদি ঠিকমতো ঘষা না হয়, তবে রঙের নিচে ঘষার দাগ থেকে যেতে পারে।
বিশেষত গা dark ় রঙের গাড়িতে আলোতে এসব দাগ স্পষ্ট দেখা যায়। এটি প্রমাণ করে পেইন্ট জব ঠিকভাবে হয়নি।
মেরামতের জন্য ওয়ার্কশপ নির্বাচন করার সময়, কর্মক্ষেত্রের সংগঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। মানসম্পন্ন বডি মেরামতের জন্য প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং যথেষ্ট জায়গা থাকা আবশ্যক। দক্ষ কর্মীদের পাশাপাশি প্রয়োজন পেশাদার সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি, যার জন্য সঠিকভাবে সংগঠিত স্থান থাকা আবশ্যক। পেইন্ট বুথ, ওয়েল্ডিং মেশিন, বডি ফ্রেম স্ট্রেইটনার (স্ট্যাপেল) এবং অন্যান্য বিশেষ যন্ত্রপাতি ছাড়া মানসম্মত মেরামত সম্ভব নয়।
আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে গাড়ির বডির ক্ষতি কার্যকরভাবে মেরামত করা যায়। যেমন, ডেন্টগুলো পুনরায় রং না করেই ঠিক করা যায়, এবং ছোটখাটো ত্রুটি মেরামত করা যায় মূল পেইন্ট না খুলে। গাড়ির বা এর অংশবিশেষের প্রফেশনাল পেইন্টিংয়ের জন্য প্রয়োজন একটি বিশেষ পেইন্ট বুথ যাতে এয়ার ফিল্টারিং এবং ডেলিভারি সিস্টেম থাকে।
একটি পেশাদার সার্ভিস সেন্টারে শুধু উন্নতমানের স্ট্যাপেলই থাকে না, সঙ্গে থাকে একটি কম্পিউটারাইজড মেজারমেন্ট সিস্টেম যাতে হাজার হাজার গাড়ির বডির তথ্য থাকে। এর মাধ্যমে প্রতিটি অংশের বিকৃতি কোন দিকে এবং কতটা হয়েছে তা নির্ধারণ করা যায় এবং তা কারখানার নির্ধারিত মাত্রার সঙ্গে তুলনা করা যায়। এমন যন্ত্রপাতি ছাড়া সব কিছু অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে চোখে চোখে মাপা হয়।
সবচেয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতিও দক্ষ কর্মী ছাড়া ভালো ফল দেবে না। ভুলভাবে রঙ করা বা সঠিকভাবে শুকাতে না পারলে রঙ দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শুধু পেইন্ট বুথ নয়, প্রয়োজন সঠিক তাপমাত্রা এবং সমানভাবে গরম করার ব্যবস্থা।
বডি মেরামতের সময় এমন অনেক অংশ খুলতে ও লাগাতে হয়, যা মূলত খুলে ফেলা বা পুনরায় সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়নি। তাই অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের হাতে কাজ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যিনি ক্লিপ বা পার্ট ভেঙে ফেলবেন না। অদক্ষ কর্মীর হাতে এমনকি সাধারণ স্ক্র্যাচ ঠিক করতেও নতুন ক্ষতি হতে পারে, যা তিনি চিপিয়ে দিতে পারেন স্পাতুলা বা নিম্নমানের রঙ দিয়ে।
কর্মীদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং তা সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ এবং গাড়ি প্রস্তুতকারকের কাছ থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট দ্বারা প্রমাণিত হওয়া উচিত। এ ধরনের প্রশিক্ষণ ও মান নিয়ন্ত্রণের সুযোগ কেবলমাত্র বড় এবং পেশাদার গাড়ি সার্ভিস সেন্টারগুলোতে থাকে।
বডি মেরামত জটিল এবং ব্যয়বহুল হলেও এটি গাড়ির জন্য চূড়ান্ত নয়। মূল বিষয় হলো, কাজটি দক্ষভাবে এবং প্রযুক্তি মেনে করা হয়েছে কিনা। এরকম হলে, সার্ভিস সেন্টার কাজের গ্যারান্টি দেয়।
সব দোষ তৎক্ষণাৎ প্রকাশ পায় না। তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার ভিন্ন পরিবেশে গাড়ির আচরণ পরীক্ষা করা জরুরি, এবং নিশ্চিত হতে হবে যে সমস্ত প্রযুক্তিগত নিয়ম মানা হয়েছে। অন্তত ছয় মাসের গ্যারান্টি থাকা উচিত।
গ্যারান্টি একটি ডকুমেন্ট আকারে থাকা উচিত, যা কাজ সম্পূর্ণ হলে দেওয়া হবে, এবং সার্ভিস সেন্টারের প্রযুক্তিগত সামর্থ্য থাকতে হবে এটি পালনের। অর্থাৎ, ছয় মাস পরও সেন্টারটি একই জায়গায় থাকবে এবং ত্রুটি সংশোধনের সক্ষমতা থাকবে।
ফ্যাক্টরি রঙ সময়ের সাথে সাথে আবহাওয়া ও রাসায়নিকের প্রভাবে বিবর্ণ হয়, বিশেষ করে আংশিকভাবে রঙ করলে পার্থক্য স্পষ্ট হয়। একে মিলানোর জন্য কেবল ক্যালার কোড নয়, প্রয়োজন বিশেষ যন্ত্রপাতি ও রঙ মেলানোর ল্যাব।
অদক্ষ মেকানিক বলতেই পারেন, "রঙ তো পরে ফেড হয়ে যাবে" বা "নতুন পার্ট সব সময় ভিন্ন দেখায়" — এসব অজুহাত প্রতারণার ইঙ্গিত দেয়। রঙ পুরো গাড়ির সঙ্গে মিলতে হবে।
সম্পূর্ণ বা আংশিক রঙ করার পর, সেই অংশগুলো ওয়ার্কশপ ও বাইরে আলোতে খুঁটিয়ে দেখা উচিত। আলোর ভিন্নতায় রঙের অমিল ধরা পড়ে। প্রযুক্তিগত শর্ত মেনে কাজ হলে, রঙ একেবারে ফ্যাক্টরি ফিনিশের মতো হবে, কোনো দানা বা ঢেউ থাকবে না। মেটালিক বা পার্ল রঙের ক্ষেত্রে রঙ মিলানোর জন্য এক টুকরো সাদা কাগজ নতুন ও পুরনো রঙে একসাথে লাগিয়ে দেখা যেতে পারে।
গাড়ির জ্যামিতি ঠিকভাবে পুনরুদ্ধার হয়েছে কিনা তা বোঝা যায় দরজা, বুট বা হুড কতটা ঠিকভাবে খুলছে ও বন্ধ হচ্ছে দেখে। সমস্ত গ্যাপগুলো সমান কি না, তা দেখা জরুরি — শুধু মেরামত করা নয়, মূল পার্টগুলোতেও। বিকৃত হলে হুইল অ্যালাইনমেন্টে সমস্যা হবে, যা টায়ার দ্রুত ঘষা এবং ড্রাইভিংয়ে অসুবিধা তৈরি করবে।
অনেক সার্ভিস সস্তা দাম দিয়ে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে, এবং জটিল জ্যামিতি ঠিক করার বদলে ফিলার (স্পাতুলা) দিয়ে মেরামত করে। এতে গাড়ির ওজনের চাপে সময়ের সাথে ফিলার উঠে যেতে পারে, ফলে চেহারায় দাগ পড়ে এবং রিসেল ভ্যালু কমে যায়।
মেরামতের গুণমান যাচাই করা যায় পেইন্টের পুরুত্ব মাপার যন্ত্র দিয়ে। পেশাদার কাজ হলে ফিলার প্রায় ব্যবহৃত হয় না, তাই কম পুরুত্বই থাকা উচিত।
গাড়ির হেডলাইট বা ফার পরীক্ষা করার সময় সমস্ত উপাদানের সমানভাবে ক্ষয় হয়েছে কি না তা লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছতার ভিন্নতা, আঁচড় এবং আলোর উজ্জ্বলতায় পার্থক্য থাকলে দুর্ঘটনার পরে ফার বদলানো হয়েছে বলে মনে হতে পারে। অনেক সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িতে বিভিন্ন নির্মাতা ও বছরের ফার লাগানো থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় যে দুর্ঘটনার সময় ফারের কাচ অক্ষত থাকলেও ভিতরের বডি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ভিতরের দিকে জল বা ঘামের দাগ দেখা যায়। দীর্ঘ ব্যবহারে এই ধরনের ফারে শুধু জল নয়, ময়লা এবং সবুজ জাতীয় ছাঁচও জমে যেতে পারে।
অবিশ্বস্ত উৎস থেকে আনা ফারগুলোতে প্রায়ই ঘন ঘন ঘাম জমে যায়। সেই সঙ্গে এদের আকার-আকৃতি ঠিক না হওয়ায় বডি প্যানেলগুলোর সঙ্গে অসমান ফাঁক থাকে।
গাড়ির গ্লাস বদলানো হয়েছে কি না তা বোঝা যায় মার্কিংয়ের পার্থক্য দেখে। গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো কাঁচের নিচের অংশে থাকা বছর–সংক্রান্ত নম্বরটি, যা গাড়ির উৎপাদন বছরের সঙ্গে সব কাঁচেই মিল থাকা উচিত। যদি ভিন্নতা থাকে, তবে বোঝা যায় গ্লাস দুর্ঘটনা বা চুরির ফলে বদলানো হয়েছে।
বিশেষ নজর দেওয়া উচিত উইন্ডশিল্ড বা সামনের কাচে, যেটি প্রতিনিয়ত বাতাসের কণার ঘর্ষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চার-পাঁচ বছর ব্যবহারের পর এতে ছোট ছোট আঁচড় ও দাগ দেখা যায়।
বিশেষজ্ঞরা সামনের কাচকে ভোক্তব্য উপাদান (consumable) হিসেবে বিবেচনা করেন, তাই ৮০ হাজার কিমি চালানো গাড়িতে কিছুটা ক্ষতি বা বদলানো গ্লাস থাকলে তা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মাত্র ৩০-৩৫ হাজার কিমি চালানো তিন বছরের পুরনো গাড়িতে এটি থাকলে তা বডি মেরামতের লক্ষণ হতে পারে এবং সতর্ক হওয়া উচিত।
গাড়ির বডির বড় ধরনের মেরামত বোঝার জন্য ল্যাকারের চকচকে অংশগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পাশের প্যানেলগুলো বিভিন্ন কোণ থেকে দেখা উচিত, কারণ সরাসরি কোণ থেকে দেখলে অনেক সময় দাগ বা অসমানতা চোখে পড়ে না। প্রতিফলনের নিখুঁততা এবং রেখাগুলোর সরলতা বিশেষভাবে দেখতে হবে।
হুড ও ফেন্ডারের বল্টগুলো পরীক্ষা করা জরুরি – এগুলোর রঙ সংশ্লিষ্ট অংশের রঙের সঙ্গে মিল থাকা উচিত। এছাড়া, ধাতব অংশে রঙের পুরুত্ব থিকনেস গেজ দিয়ে মাপা উচিত।
প্রতিটি প্যানেল, বিশেষ করে সন্দেহজনক অংশগুলো, ভালোভাবে খুঁটিয়ে দেখা উচিত। ফ্যাক্টরি পেইন্টিংয়ে প্রাইমার এবং রঙের পুরুত্ব গাড়ির সব অংশে সমান হওয়া উচিত।
গাড়ি পরিদর্শনের সময় বডি মেরামতের যেকোনো চিহ্নের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। মনে রাখবেন, ছোটখাটো মরিচা ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতির রূপ নিতে পারে, যা গাড়ির জ্যামিতি নষ্ট করতে পারে এবং চালানোর সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।