ব্যবহৃত গাড়ি কিনছেন? এই বিবরণগুলি পরীক্ষা করুন - তারা মিথ্যা বলে না, এমনকি ওডোমিটার যদি "তাজা" মাইলেজও দেখায়।
ব্যবহৃত গাড়ি প্রায়শই ওডোমিটারের সংখ্যার পরিবর্তে ইন্টারিয়রের বিশদ এবং দেহের অবস্থার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করে। যদি গেজ ৯০ হাজার কিলোমিটার (প্রায় ৫৬ হাজার মাইল) দেখায়, কিন্তু সিটগুলি এত কাল চলেছে বলে মনে হয়, স্টিয়ারিং হুইল যেন হাজার ড্রাইভারের হাতের তল দিয়ে পালিশ করা, এবং পেডালগুলো আয়নার মত ঝিলমিল করছে - বিক্রেতার সৎতা সম্পর্কে সন্দেহ করা যথেষ্ট সঙ্গত। এই মাইলেজে, সাধারণত গদি একটু কুঁচকে যায়, তবে কোন প্রকাশ্য কুঁচকানি থাকে না, এবং স্টিয়ারিং হুইল ও গিয়ার শিফট লিভার কারখানার বুননের রকমারিকে রক্ষা করে, যদিও ব্যবহারের সংকেত সামান্য থাকে।
গ্লাসের উপর মার্কিং পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি সব কাচের একই উৎপাদন বর্ষ থাকে, কিন্তু উইন্ডশিল্ড নতুন দেখায় - এর পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞাসা করার লোভনীয়। হেডলাইটের অবস্থা লক্ষ্য করুন: মলিনতা এবং পিলে ধরনের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের নির্দেশ করে। এবং বিপরীতে, যদি পুরানো গাড়িতে নতুনের মত অপটিক্স দেখায় - সম্ভবত এটি পালিশ করা হয়েছে বা পরিবর্তন করা হয়েছে। টায়ারগুলির মূল্যায়ন করুন: গভীর ট্রেড হলেও, পাশে মাইক্রোস্কোপিক ফাটল প্রদর্শন করে যা টায়ারগুলো পুরানো এবং ঘোষণাকৃত কম মাইলেজ থাকার পরেও পরিবর্তন হয়নি (যা সম্ভবত তার সংযোজনকে নির্দেশ করতে পারে)।
বোণেটের নিচে নজর দেওয়া অপ্রয়োজনীয় নয়। ইঞ্জিন পরিষ্কার করা হলেও, ব্যবহারের ছাপগুলি বোল্ট ও সংযোগে স্পষ্ট। তারা বিক্রেতার যেকোন কথার চেয়ে আরও বলবে।
১৫০ হাজার কিলোমিটার (প্রায় ৯৩ হাজার মাইল) চালকৃত গাড়ি নতুনের মত হতে পারে না - তার বয়সের লক্ষণ অবশ্যই প্রতীয়মান হবে। গিয়ার পরিবর্তনের মসৃণতা, গ্যাস প্রেস করার প্রতিক্রিয়া, চলন্ত অবস্থায় কম্পন - সকল অনুভূতিগুলি বলে দেয় কিভাবে গাড়ির জীবন সক্রিয় ছিল। এই ধরনের জিনিসগুলি কোনো কেমিক্যাল ক্লিনিং বা কভার দিয়ে আড়াল করা সম্ভব নয় - সচেতন ড্রাইভার এটি তৎক্ষণাৎ অনুভব করবে।